Dr. Syed Manzoorul Islam
Professor Emeritus
Department of English

১৯৮৪ সালের ৩১ মে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনীর পর থেকেই উচ্চতর মানববিদ্যা গবেষণা কেন্দ্র নিয়মিতভাবে সেমিনার, বিশেষ সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, স্মারক বক্তৃতা ও বক্তৃতা, আন্তর্জাতিক সেমিনার, মানববিদ্যা বক্তৃতা, নূরুন্নাহার স্মারক বক্তৃতা ও ডান্স লেকচার এবং গবেষণা পদ্ধতি প্রশিক্ষণ কোর্স ইত্যাদি আয়োজন করে আসছে। দেশ-বিদেশের প্রথিতযশা অধ্যাপক, গবেষক ও পণ্ডিতগণ এতে অংশগ্রহণ করে থাকেন।

এছাড়া কেন্দ্রের উদ্যোগে ১৯৮৮ সালে কেন্দ্রের তৎকালীন পরিচালক অধ্যাপক ড. ওয়াকিল আহমদের উদ্যোগে ‘বাংলা চরিতাভিধান প্রকল্প’ গ্রহণ করা হয় এবং ১৯৯২ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কিন্তু ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তথ্যাদি সংগহের পর প্রকল্পের কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০০১ সালে পুনরায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও তা নানা কারণে আর অগ্রসর হয়নি।এরপর ২০১৩ সালে পুনরায় প্রকল্পের কাজ শুরু হয় এবং নানা প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে এই প্রকল্পের কাজ অগ্রসর হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে অচিরেই বাংলা চিরিতাভিধান : প্রথম খ- (অ – ঘ পর্যন্ত) প্রকাশ করা সম্ভব হবে।

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, কেন্দ্র থেকে ১৯৯০ সালে ‘বাঙালির চিন্তাধারা : আধুনিক যুগ’ ১৯৯৫ সালে ‘বাংলার ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে নগর’, ১৯৯৮ সালে ‘বাংলার ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে গ্রাম’ এবং ২০০১ সালে মহান ‘মুক্তিযুদ্ধ’ বিষয়ক সেমিনার-এর আয়োজন করা হয়। এই বিশেষ সেমিনারে পঠিত প্রবন্ধ পরবর্তীকালে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করা হয়েছে; যার ধারাবাহিকতা রক্ষা করে প্রায় প্রতি বছর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করা হচ্ছে এবং এগুলো নিয়েও গ্রন্থ প্রকাশ করা হবে। এখানে আরও উল্লেখ করা যায় যে, কেন্দ্রের উদ্যোগে ২০১৩ সালে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শিক্ষকদের জীবন ও কর্ম’ শিরোনামে একটি গ্রন্থ প্রকাশের কাজ এগিয়ে চলছে। আশা করা যায় আগামীতে তা পুস্তকাকারে প্রকাশ করা সম্ভব হবে। এছাড়াও কেন্দ্রের তৎকালীন পরিচালক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার রায়ের উদ্যোগে কেন্দ্রের ত্রিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সকল সভাপতি ও পরিচালকদের (প্রাক্তন ও বর্তমান) উপস্থিতিতে তাঁদের সম্মাননা, উত্তোরিয় এবং ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করা হয় এবং এ উপলক্ষে ঐতিহ্যের ত্রিশ বছর : উচ্চতর মানববিদ্যা গবেষণা কেন্দ্র শিরোনামে একটি বিশেষ পুস্তিকাও প্রকাশ করা হয়।

যুগোপুযোগি শিক্ষা কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের অন- লাইন লাইব্রেরী সুবিধা প্রদানের জন্য হলে ডিজিটাল লাইব্রেরি স্থাপন করা হয়।

ছাত্রীদের শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠূভাবে সম্পন্ন করার নিমিত্তে হলের মাল্টি পারপাস ভবনের (প্রত্যাশা ) ৪র্থ তলায় পুরাতন রিডিং রুমের পাশাপাশি একই

সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার জন্য রয়েছে সুসজ্জিত সাহিত্য কর্নার।

ছাত্রীদের সুবিধার্থে হলের অভ্যন্তরে স্থাপন করা হয়েছে সুসজ্জিত ডাইনিং। এখানে হলের ছাত্রীরা প্রতিদিন রাত ১০ টা পর্যন্ত সেবা পেয়ে